দক্ষিণ চীন সাগরে মালয়েশিয়ার জলসীমায় চীনা জাহাজের অনুপ্রবেশের অভিযোগে কুয়ালালামপুরে দেশটির রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়েছে। বোর্নিও দ্বীপের উপকূলে দক্ষিণ চীন সাগরে কুয়ালালামপুরের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে (ইইজেড) চীনা নৌযানের উপস্থিতি ও তৎপরতার প্রতিবাদ জানাতে এ তলব করা হয়েছে বলে মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।
সোমবার রাতে এক বিবৃতিতে মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জাতিসংঘের ১৯৮২ সালের সমুদ্র আইন লঙ্ঘন করে মালয়েশিয়ার সাবাহ ও সারাওয়াক রাজ্যের উপকূলে দিয়ে চীনের জরিপ নৌকাসহ বিভিন্ন নৌযান পরিচালনা করা হয়েছে। চীনা জলযানের মধ্যে সার্ভে বোটও ছিল। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জলসীমায় আমাদের সার্বভৌমত্ব ও সার্বভৌম অধিকার রক্ষায় আন্তর্জাতিক আইন মেনেই আমরা অবস্থান নিয়েছি।
দক্ষিণ চীন সাগরে নিজেদের অংশ আছে বলে দাবি করে মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, তাইওয়ান, ভিয়েতনাম ও ব্রুনাই। কিন্তু ২০১৬ সালে আন্তর্জাতিক আদালত ভিত্তিহীন বললেও তথাকথিত নাইন-ড্যাশ লাইনের অধীনে প্রায় পুরো জলসীমাকে নিজেদের দাবি করে চীন। এ দাবির ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি দক্ষিণ চীন সাগরের বিতর্কিত অঞ্চলে নিজেদের আগ্রাসন আরও বাড়িয়েছে দেশটি। গড়ছে কৃত্রিম দ্বীপ। বানাচ্ছে সামরিক ফাঁড়ি।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।